বছর চারেক আগে ওই কিশোরীর মা মারা যায়৷ তখন থেকেই পিসির বাড়ি দক্ষিণেশ্বরে ঠাঁই হয় তার৷ ধর্ষিতা কিশোরীর অভিযোগ, ‘‘সেখানেই দীর্ঘদিন ধরে পিসতুতো দাদা ও পিসেমশাই আমাকে লাগাতার ধর্ষণ করত৷ তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমি পালিয়ে যায় তার এক দিদির বাড়ি৷ কিন্তু সেখানেও রক্ষা হয়নি৷ সেখানেও এক দাদা ও জামাইবাবু একাধিকবার আমাকে ধর্ষণ করে৷’’
ধর্ষিতা কিশোরীর অভিযোগ, পরিবারের অন্যদের অত্যাচারের এই কথা জানালে তাঁরা সাহায্যের পরিবর্তে বিষয়টি চেপে যাওয়ার পরামর্শ দেন৷ এমনকি পুলিশে অভিযোগ করলে ফল ভাল হবে না বলেও শাসানি দেয়৷ এমনকি বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷
অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে বাড়ি থেকে পালায় সে৷ পূর্ব বর্ধমানের জেলা চাইল্ড লাইন উদ্ধার করে তাকে৷ তাদের সে পুরো ঘটনাটি জানায়৷ চাইল্ড লাইনের সহায়তায় কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই ধর্ষিতা ছাত্রী৷ তারপরই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই কিশোরীর এক দাদা ও পিসেমশাইকে গ্রেফতার করেছে৷ আরেক দাদা ও জামাইবাবু এখনও পলাতক৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন