রবিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৮

ক্যাটরিনার ‘সাবেক প্রেমিকে’র বাগদান

ভারতের অন্যতম ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির ছেলে আকাশ আম্বানির বাগদান হয়েছে। পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের জায়গা গোয়ায় হীরা ব্যবসায়ীর কন্যার সঙ্গে বাগদান সারলেন আকাশ আম্বানি। এ বছরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ তারকা ক্যাটরিনা কাইফের সাবেক প্রেমিক আকাশ আম্বানি।
আগেই জানা গিয়েছিল, রোজি ব্লু ডায়মন্ডের কর্ণধার রাসেল মেহতার পরিবারের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক হতে যাচ্ছে ভারতের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স গ্রুপের মালিক আম্বানি পরিবারের। দুই ব্যবসায়ী পরিবারের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক দিন থেকেই। নীতা আম্বানি ও মুকেশ আম্বানির বড় ছেলে আকাশের সঙ্গে আংটি বদল করলেন মেহতা পরিবারের ছোট মেয়ে স্লোকা মেহতা। গতকাল শনিবার গোয়ার সমুদ্রসৈকতের পাশের একটি অনিন্দ্যসুন্দর রিসোর্টে বাগদানের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পরিবারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের বাগদানের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। অনুষ্ঠানে আকাশ পরেছিলেন নীল রঙের ব্লেজার। স্লোকা মেহতা রুপালি রঙের গাউন পরেছিলেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেকেই এ দুজনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ক্যাটরিনার সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে আকাশ আম্বানি। ছবি: বলিউড লাইফক্যাটরিনার সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে আকাশ আম্বানি। ছবি: বলিউড লাইফবছর শেষে ডিসেম্বরেই বিয়ে হবে আকাশ-স্লোকার। মুকেশ আম্বানি ও রাসেল মেহতার পারিবারিক পরিচয়ের সূত্রেই আকাশ ও স্লোকার বন্ধুত্ব। দুজনে একসঙ্গেই ধীরুভাই আম্বানি আন্তর্জাতিক স্কুলে পড়াশোনাও করেছেন। বর্তমানে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিওর ব্যবসার দেখাশোনা করছেন আকাশ। ২০০৯ সালে স্কুল শেষ করে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন স্লোকা। এরপর লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স থেকে আইনে স্নাতকোত্তর করেছেন। ২০১৪ সাল থেকে নিজেদের পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দেন স্লোকা। বর্তমানে তিনি রোজি ব্লু ডায়মন্ডের পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন।

দুই বছর আগে একটি পার্টিতে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল ক্যাটরিনা কাইফ ও ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির ছেলে আকাশ আম্বানিকে। এরপরই বলিউডপাড়ায় ওই সময়ের গুঞ্জন, গোপনে তাঁরা নাকি প্রেম করছেন। তবে ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ তারকা ক্যাটরিনার প্রেমিক হিসেবে সালমান খান, রণবীর কাপুরের নাম শোনা গেছে। এরপরে খবর চাওর হয় যে বলিউড সুন্দরী ক্যাটরিনা আকাশ আম্বানির সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন।

প্রবাসীর স্ত্রীরা যে আট কারণে পরকীয়াতে জড়িয়ে পড়েন বিস্তারিত জানুন

নারীরা পরকীয়া কেন করে তার বিভিন্ন কারনের মধ্য বিশেষ ৭টি বাস্তব কারন নিচে উল্লেখ করা হলো-

নিঃসঙ্গতা বোধ থেকে
আমাদের সমাজের অধিকাংশ নারী নিঃসঙ্গতায় ভুগে থাকেন। বিয়ের পর অধিকাংশ নারীই স্বামীর সঙ্গ তেমন একটা পান না। সারাদিন নানান কাজে ব্যস্ত স্বামী দিনের শেষে এসে থাকেন খুব ক্লান্ত, দৈনন্দিন কাজের চাপে হারিয়ে যায় রোমান্স। আর তাই একাকিত্বে ভোগেন অধিকাংশ নারী। এছাড়াও সন্তানরা কিছুটা বড় হয়ে গেলে সন্তানের সঙ্গটাও আর পাওয়া হয়না তেমন করে। তাই এই সময়ে একাকিত্ব দূর করার জন্য এবং জীবনে নতুন বৈচিত্র্যের আশায় অনেক নারীই পরকীয়ার দিকে ঝুঁকে পড়েন।

বাল্যবিবাহঃ বাল্য বিবাহ নারীদের পরকীয়া করার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ কারণ হয়ে থাকে। যে মেয়েটার ষোল বছর যেতেই বয়সেই বিয়ে দেওয়া হয়, তিনি ত্রিশ কোটায় গিয়ে ফেলে আসা দিনগুলোকে ফিরে পেতে চান। তখন হয়ত তার স্বামীর বয়স অনেক হয়ে যায়। যার ফলে পরকিয়া সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে টা পূরণ করার চেষ্টা করেন।

অনিচ্ছাকৃত বিয়েঃ বাড়ি এবং সমাজের চাপে অনেকেই অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিয়ে করতে বাধ্য হন। কিছু দিন না যেতেই সংসারে টানাপুড়ন শুরু হয়ে যায়। টনক নড়ে বসে মেয়েটির,
বুঝতে পারেন কী ভুলটাই না তিনি করেছেন। তখনই শুরু হয় পরকীয়া সম্পর্কের।

শারীরিক চাহিদাঃ নারীরা পরকীয়া কেন করে তার অন্যতম প্রধান কারণ এটিই। স্বামী যদি স্ত্রীকে যৌন তৃপ্তি দিতে না পারেন সে ক্ষেত্রে বেশির ভাগ মেয়েরা অন্য পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে থাকেন।
আবেগের অভাবঃ সময়ের অভাব থেকে কমিউনিকেশন গ্যাপ তৈরি হয়। যার ফলে স্বামীর প্রতি আবেগ কমতে থাকে। এই সময়ে এক জন ভাল বন্ধু দরকার হয়ে পড়ে অনেক নারীরই। ফলে সে পরকীয়ার মাধ্যমে তা করে থাকে।
ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিঃ দুটো আলাদা মানুষ, জীবনটাকে আলাদা ভাবে দেখবে— এটাই তো স্বাভাবিক। সেটা না জেনেই হুট করে বিয়েটা সেরে ফেলেন। দু’জনের দৃষ্টিভঙ্গির এই পার্থক্য সময়ের সঙ্গে দু’জনের কাছেই পরিষ্কার হতে শুরু করে। স্বামী সেটা মানিয়ে নিতে না পারায় মেয়েরা অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
অর্থঃ অর্থ বা টাকা-পয়সার জন্য অনেক মেয়েই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিশেষ করে নিম্ন মধ্যবিত্ত মেয়েরা এই সম্পর্কে বেশি জড়ায়। কথায় আছে অর্থই অনিষ্ঠের মুল।

স্বামী দূরে থাকাঃ বর্তমানে স্ত্রীকে রেখে অনেক স্বামীকেই অর্থ উপার্জনের জন্য দূরে থাকতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে দূরে থাকার ফলে তার শারিরীক ও মানসিক সুখ থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়। এ সময় কালে মেয়েরা সঙ্গ পেতে অন্য পুরুষের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।

হোটেলে শাকিবকে নিয়ে রাত কাটানো নিয়ে মুখ খুললেন অপু, যা বললেন…

বিবাহ বিচ্ছেদের খবর প্রকাশিত হওয়ার কয়েকদিন পরেই কলকাতায় দেখা করেছেন শাকিব-অপু। গত ১৮ মার্চ সন্তান আব্রাম খান জয়সহ কলকাতা যান অপু বিশ্বাস। কলকাতায় ‘ভাইজান এলো রে’ সিনেমার শুটিং করছিলেন শাকিব খান।
শুটিং সেটে পুত্র আব্রাম খানকে নিয়ে যান অপু বিশ্বাস। সেখানে জয়কে পেয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত হন শাকিব খান। এছাড়া শুটিং সেটে থাকা ওপার বাংলার অভিনেত্রী শ্রাবন্তী, পায়েল সরকারসহ অনেকেই আব্রামকে কোলে নিয়ে ছবি তোলেন।
এর পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিগুলো ভাইরাল হয়। যদিও এ ছবিগুলোতে শাকিব খান-অপু বিশ্বাসকে একসঙ্গে দেখা যায়নি। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তাদের দেখা হওয়ার কথাটি স্বীকার করেছেন শাকিব খান।
এ বিষয়ে জানতে এই প্রতিবেদক কথা বলেন অপু বিশ্বাসের সঙ্গে। হঠাৎ করে কেন ভারতে গিয়েছিলেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে অপু বিশ্বাস একটি জনপ্রিয় অনলাইন নিউজকে বলেন, ‘আমার ছেলের একটা মানত ছিল, তা পূরণ করতেই আমি ভারতে গিয়েছিলাম।
সেখানে আমার পরিবারের লোকজন বেশি থাকে। তাই বাবুকে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা সবাই একসঙ্গে ঘোরাঘুরি করেছি। বলতে পারেন আমাদের গেট টুগেদার।’
শাকিব খানের শুটিং সেটে তাকে দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘বাবুর বাবা সেখানে বাবুকে নিয়ে আমাকে ডেকেছেন। সে তার নিজ দায়িত্বে গাড়ি, হোটেল রুম ঠিক করা, শপিং করানোসহ সব কিছু করেছেন।
আমরা হোটেলে পাশাপাশি রুমে এক রাত ছিলাম। আমরা দ্য পার্ক হোটেলে (কলকাতা) ছিলাম। বাবুর বাবা বলেছিলেন, আরো একদিন থাকতে। কিন্তু বাবুর মানতের কারণে থাকতে পারিনি।’

ভারতে বিভিন্ন স্থানে প্রায় এক সপ্তাহ কাটিয়ে আজ সকালে ঢাকায় ফিরেন অপু বিশ্বাস। ফিরেই কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

ডেটিংয়ে নিয়ে ধর্ষণ, বিয়েতে বয়ফ্রেন্ডের না : আগুনে পুড়ে প্রাণ দিল কলেজছাত্রী!

মুলাদীতে ডেটিংয়ে নিয়ে ধর্ষণের পর বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানানোয় আগুনে পুড়ে এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার মুলাদী ডিগ্রি কলেজের ১ম বর্ষের লুনা আকতার নামে ওই ছাত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি পৌর সদরের তেরচর গ্রামের আব্দুর রহমান হাওলাদারের মেয়ে। তিনি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। ওই ঘটনায় লুনার বাবা আবদুর রহমান হাওলাদার বাদী হয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে কথিত বয়ফ্রেন্ড হিজলা উপজেলার চরনরসিংহপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম মাঝির ছেলে আরিফ মাঝির বিরুদ্ধে মুলাদী থানায় মামলা করেন।
জানা গেছে, মুলাদী কলেজে একই শ্রেণিতে পড়াশোনার সুযোগে আরিফ মাঝি মুলাদী পৌর সদরের তেরচর গ্রামের আব্দুর রহমান হাওলাদারের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে আরিফ ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লুনাকে নিয়ে বরিশালের এক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রাত কাটায় এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে আরিফ মাঝি বিভিন্ন সময় লুনাকে বিভিন্নস্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রাণ দিল ছাত্রী

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি লুনা তার বয়ফ্রেন্ড আরিফকে বিয়ের কথা বলতে সে তালবাহানা করে একপর্যায়ে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি আরিফের পরিবার জানতে পেরে ওই দিনই তার বোন ও ভগ্নিপতি মোশারেফ হোসেন মোবাইল ফোনে লুনাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে। অপবদা সইতে না পেরে লুনা আক্তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। দীর্ঘ ৩৬ দিন চিকিৎসা শেষে লুনা শনিবার মারা যান।

সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখার জন্য কি যৌনতাই দায়ি?

প্রেম ও যৌনতার মধ্যে বৈরিতা থাকা উচিত নয়৷ কিন্তু কখনও কখনও যৌনতার কাছে হেরে যায় প্রেম৷ অনেক সময় শারীরিক মিলন এমন এক জায়গায় এসে পৌঁছয়, যেখানে প্রেমের কোনও স্থান নেই৷ শারীরিক সম্পর্কই সেখানে প্রথম ও প্রধান হয়ে ওঠে৷ অনেক সময় যৌনতার উপর ভিত্তি করেই টিকে থাকে সম্পর্ক৷
অনেকসময় বোঝাই যায় না প্রেম কোথা থেকে কীভাবে পালাল৷ কিন্তু কামের ফাঁদের পড়ে প্রেমের মৃত্যু ঘটে৷ যখন দুজন মানুষের মধ্যে ভালোবাসা থাকে, তারা শারীরিকভাবে মিলিত হয়৷ তবে মিলিত হওয়ার পর যদি নিজেকে শূন্যতা আঁকড়ে ধরে, তাহলে কিন্তু সাবধান৷ এর অনেক সময়ই এর উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় না৷ প্রেম রয়েছে, শারীরিক মিলনও হল৷ কিন্তু তাও কেন এই শূন্যতা? এমন হলে কিন্তু প্রেম সরে যেতে শুরু করেছে৷ আপনার পার্টনারের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক টিকে রয়েছে শুধু সেক্সের জেরে৷ সমস্যা কোনদিকে, আপনার না আপনার পার্টনারের, তা আপনাকেই খুঁজে বের করতে হবে৷ তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একদিকের মানুষ শূন্যতা বোধ করে উলটোদিকের মানুষের জন্যই৷
একে অপরকে ভালোবাসেন? সে তো খুব ভালো কথা৷ কিন্তু আপনাদের মধ্যে বন্ধুত্বও রয়েছে তো? মুখে শুধু “ভালোবাসি” বললেই চলে না৷ একে অপরের ভালো-মন্দ, সুখ-দুঃখ সব শেয়ার করতে হয়৷ তবেই তো ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে৷ প্রেমও পোক্ত হয়৷ কিন্তু প্রেম যদি শুধু মৌখিক হয় বা জোর করে বন্ধুত্বের চেষ্টা হয়, তাহলে কিন্তু গলদ৷
আপনি যখন খুব ইমোশনাল হয়ে যান, পার্টনারকে পাশে পান? তিনি কি ততটাই মন দিয়ে আপনার কথা শোনেন যতটা মন দিয়ে বিছানায় মিলিত হন? এমন হলে অসুবিধা নেই৷ কিন্তু যদি না হয়, যদি ইমোশনাল দিক থেকে শান্তি পেতে আপনাকে অন্য কোনও বন্ধুর স্মরণাপন্ন হতে হয়, তাহলে এদিকে নজর দিন৷ হয়তো আপনাদের সম্পর্ক শুধু শরীরের উপরেই টিকে রয়েছে৷ আপনার পার্টনার হয়তো আপনাকে শুধু শারীরিক চাহিদা মেটাতেই ‘ব্যবহার’ করছেন৷
দিনের বেশিরভাগ সময়টাই বেডরুমে কাটান? সপ্তাহ শেষেও? বা আপনারা এমন কোথাও ঘুরতে যান যেখানে বেশিরভাগ সময়টা বেডরুমে কাটাতে হয়? এটা কিন্তু ভালো লক্ষণ নয়৷ শুধরে নিন৷ শুধু বিছানার মধ্যেই গোটা পৃথিবীটা আটকে নেই৷ শরীরে শরীরে মিলন জীবনের একটা অংশ৷ সম্পূর্ণ জীবন নয়৷ এমন হলে প্রেম চলে যেতে বাধ্য৷ শুধু শরীরের খেলাই রয়ে যাবে৷

যখন সেক্স করেন, তার আগে কি শুধু আপনার পার্টনার আপনার প্রতি মনোযোগ দেন? এমন হওয়া কিন্তু কখনই কাম্য নয়৷ যখন একে অপরকে ভালোবাসেন, মনোযোগ সবসময়ই থাকা উচিত৷ কচিৎ কদাচিৎ নয়৷ কিন্তু যদি হয়, তাহলে নিশ্চিত হয়ে যান, আপনাদের সম্পর্ক শুধু শরীরের৷ মনের নয়৷

শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১৮

উদ্দাম যৌনতায় দম্পতিরা কি সুবিধা পান জানেন?

প্রত্যেকদিন কাজের চাপ বাড়ছে! ফোন-ইমেল- প্রতিনিয়ত হোয়াটস-অ্যাপে ক্লান্তি বাড়ছে মানুষের মধ্যে। কিন্তু সুযোগের অভাবে ক্লান্তি ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে অবসাদ ডেকে আনছে। আর এই অবসাদ থেকে আত্মহননের পথ পর্যন্ত বেছে নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আর এই অবসাদ থেকে মুক্তি দিতে নানারকম গবেষণা চালাচ্ছেন গবেষকরা।
সম্প্রতি এক গবেষণা বলছে, মানুষকে যেভাবে অবসাদ গ্রাস করছে তা থেকে মুক্তির উপায় শুধুই নাকি যৌনতা। জত বেশি সেক্স তত বেশি কাটবে মানুষের মধ্যে দিনের পর দিন জমতে থাকা ক্লান্তি।
আমেরিকার অরিজন স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই বিষয়ে লাগাতার গবেষণা চালিয়ে গিয়েছে। সেই গবেষণায় উঠে এসেছে, অবিরাম কর্মজীবনের ভার থেকে মুক্ত হওয়ার অন্যতম চাবিকাঠি যৌনতা। সঙ্গীর সঙ্গে উদ্যাম যৌনতা সর্বদাই শ্রমক্ষমতাকে ত্বরান্বিত করে বলে অভিমত দিয়েছেন ওই ইউনিভার্সিটির গবেষক কেট লেভিট।

১৫৯ জনের ওপর গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গবেষণা চালায় স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। প্রতিদিনই দুটি করে সার্ভে চালান তারা। এতে উঠে আসে অবাক করা তথ্য। যারা প্রতিনিয়ত যৌনতায় লিপ্ত হয়েছেন তারাই সব থেকে বেশি কর্মচঞ্চল থেকেছেন। এতে নাকি কাজের প্রতিও একটা নিষ্টা তৈরি হয়। এই গবেষণা শুধু পুরুষদের ক্ষেত্রে নয়, মহিলাদের ক্ষেত্রেও সমান প্রযোজ্য। যে সমস্ত মহিলারা নাকি বেশি যৌনতায় লিপ্ত হন তাদের কাজের ধরণেও বদল আসে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ, ২০১৮

পুরুষদের যৌনক্ষমতা বৃদ্ধির অসাধারণ প্রাকৃতিক উপায়

অধিকাংশ পুরুষের মধ্যে একটা সমস্যা বেশ প্রকট হয়ে উঠছে। দিন যত যাচ্ছে পুরুষের মধ্যে নপুংসকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের যৌন ইচ্ছা যাচ্ছে ক্রমশ কমে। কাজেই যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার আগে থেকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন৷ জেনে নিতে পারেন কী করে এই চাহিদা ক্রমশ ক্ষয়মান হচ্ছে৷
হোম রেমেডি পুরুষের এই সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে এসেছে৷ তারা যাতে আবার তাদের পূর্ণ যৌন ইচ্ছা ফিরে পায় তার উপায় বার করেছে হোম রেমেডি৷ যাদের মধ্যে এই অসুবিধা সবেমাত্র দেখা দিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে হোম রেমেডি কার্যকরী হতে পারে৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে হোম রেমেডি দ্বারা চিকিৎসা করা যায় কিন্তু সবক্ষেত্রে হোম রেমেডি প্রযোজ্য নয়৷
এবার আসুন জানা যাক যৌন অক্ষমতার প্রথম ধাপের চিকিৎসাতে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য কি কি সামগ্রী কাজে লাগতে পারে বা তা ব্যবহারে কি উপকার হয়-
রসুন: যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুব ভালো ফল দিয়ে থাকে৷ রসুনকে ‘গরীবের পেনিসিলিন’ বলা হয়৷ কারণ এটি অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে৷ যা আমরা প্রায় প্রতিনিয়্তই খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকি৷
আপনার যৌন ইচ্ছা ফিরে আনার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী৷ কোনো রোগের কারণে বা দুর্ঘটনায় আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গেলে এটি আপনাকে তা পুনরায় ফিরে পেতে সাহায্য করে৷ এছাড়া যদি কোনো ব্যক্তির যৌন ইচ্ছা খুব বেশি হয় বা তা মাত্রাতিরিক্ত হয় যার অত্যধিক প্রয়োগ তার নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এমন ক্ষেত্রেও রসুন খুবই কার্যকরী৷
প্রতিদিন দু’ থেকে তিনটি রসুনের কোয়া কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খান৷ এতে আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গিয়ে থাকলে তা বৃদ্ধি পাবে৷ এ ছাড়া গমের তৈরি রুটির সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেলে তা আপনার শরীরে স্পার্ম উৎপাদনের মাত্রা বাড়ায় এবং সুস্থ্য স্পার্ম তৈরিতে এটি সাহায্য করে৷
পেঁয়াজ: কাম-উত্তেজক ও কামনা বৃদ্ধিকারী হিসেবে পেঁয়াজ বহুদিন থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে৷ কিন্তু এটি কীভাবে এই বিষয়ে কার্যকরী তা এখনো পর্যন্ত সঠিকভাবে জানা যায়নি৷
সাদা পেঁয়াজ পিষে নিয়ে তাকে মাখনের মধ্যে ভালো করে ভেঁজে নিয়ে তা প্রতিদিন মধুর সঙ্গে খেলে তা থেকে উপকার পাওয়া যায়৷ কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন, এটি খাওয়ার আগে ঘণ্টা দুয়েক সময় আপনার পেট খালি রাখবেন৷ এইভাবে প্রতিদিন খেলে স্খলন, শীঘ্রপতন বা ঘুমের মধ্যে ধাতুপতন ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব৷
এছাড়া পেঁয়াজের রসের সঙ্গে কালো খোসা সমেত বিউলির ডালের গুঁড়ো সাত দিন পর্যন্ত ভিজিয়ে রেখে তাকে শুকিয়ে নিন৷ এটির নিয়্মিত ব্যবহার আপনার কাম-উত্তেজনা বজায় রাখবে এবং শারীরিক মিলনকালীন সুদৃঢ়তা বজায় রাখবে৷

গাজর: দেড়শো গ্রাম গাজর কুঁচি এক টেবিল চামচ মধু এবং হাফ-বয়েল ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে দুমাস খেলে আপনার শারীরিক এই অক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে

পুরুষের শরীরে ৮টি জিনিস খোঁজে মেয়েরা!

এতদিন নারীর শরীর কেমন হলে তা আকর্ষণ করবে পুরুষকে তা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা হয়েছে নানা মহলে৷ শিল্পীরা নিজের তুলিতে পুরুষের মনের মতো করে এঁকেছেন নারীকে৷ এবার পালা পুরুষের শরীরের আকর্ষণ খোঁজার৷ নারীরা পুরুষের কোন অঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট হয় তা খতিয়ে দেখা যাক৷ ১০০ জন নারীর ওপর পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে পুরুষের কোন অঙ্গ আকর্ষণ করে তাদের৷
১. চওড়া কাঁধ :
অধিকাংশ নারী পুরুষদের চওড়া কাঁধ বেশি পছন্দ করেন। পুরুষকে সাধরনত নারীরা নিজেদের মানষিক অবলম্বন হিসাবেই পেতে চায়৷ আর চওড়া কাঁধ মহিলাদের মধ্যে সেই ভাবনাকে আরও মজবুত করে এমনটাই মনে করেন মনোবিদরা৷ তাই অবচেতনে নারীর মন ছোটে পুরুষের চওড়া কাঁধের দিকে৷
২. চওড়া বক্ষ :
পুরুষদের আকর্ষণীয় অঙ্গের মধ্যে আরেকটি হল তাদের চওড়া বক্ষ। কিন্তু বক্ষ চওড়া করতে জিমে গিয়ে খুব একটা লাভ হয় না নারীমন পাওয়ার ক্ষেত্রে৷ কারন এই ধরনের পুরুষের দেহ নয় বরং যাদের প্রকৃতিগতভাবেই চওড়া বক্ষ রয়েছে তাদেরই পছন্দ করেন নারীরা। এছাড়া চওড়া বক্ষের অধিকারী এসব পুরুষের স্তনের গড়নও তাদের বেশ ভালো লাগে। তাদের শরীরের ঘামের ফোটা অনেক বেশি আকর্ষন করে অধিকাংশ নারীকে।
৩. আকর্ষণীয় পেশী :
পেশীবহুল পুরুষ সবসময়ই প্রিয় মহিলাদের কাছে৷ তবে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা অস্বাভাবিক পেশী অনেক নারীই অপছন্দ করেন। যখন পুরুষের পেশীবহুল বাহু টি-শার্টের মধ্য দিয়ে ফুটে ওঠে অনেক নারীর চোখই আটকে যায় সেদিকে।
৪. সুমিষ্ট ঠোঁট :
ঠোঁট যে শুধু নারীরই আকর্ষণীয় হয়ে থাকে তা নয় পুরুষের ঠোঁটও আকর্ষণীয় আর সুমিষ্ট হতে পারে বলে জানিয়ছেন অনেক নারী। তবে বেশিরভাগ নারীই চিকন ঠোঁটের অধিকারী পুরুষদের বেশি পছন্দ করেন। ধূমপান না করা ঠোঁটই মেয়েদের প্রথম পছন্দ।
৫. জিহ্বা :
পুরুষদের অঙ্গ নিয়ে নারীদের পছন্দের তালিকায় জিহ্বাও রয়েছে। আবেগঘন চুম্বনে বা শারীরিক মিলনের সময়ে জিহ্বার ভূমিকা অসাধারণ। তাই নারীদের অনেকেই পুরুষের এই জিহ্বাকে বেশ পছন্দ করে থাকেন।
৭. আকর্ষণীয় হিপস :
নারীদের হিপের সৌন্দর্যের পাশাপাশি পুরুষের হিপস-এর সৌন্দর্য থাকাও উচিত। হিপস-এর স্বাস্থ্য বেশি মেদযুক্তও না হলেও খুব কম মেদের হিপসও নারীরা পছন্দ করেন না।

৮. স্বাস্থ্যকর যৌনাঙ্গ :
স্বাভাবিকভাবেই নারীদের পছন্দের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরুষদের অঙ্গ হল স্বাস্থ্যকর যৌনাঙ্গ। ইঞ্চির হিসেবে এটিকে হতে হবে স্বাস্থ্যকর আর আকর্ষণীয়।

‘দাদা, জামাইবাবু, পিসেমশাই আমাকে লাগাতার ধর্ষণ করত’

স্টাফ রিপোর্টার, বর্ধমান: রক্ষকই ভক্ষক৷ দিনের পর দিন নিজের দুই দাদা, জামাইবাবু ও পিসেমশাইয়ের লালসার শিকার হল এক কিশোরী৷ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার দাঁইহাটা এলাকায়৷ নবম শ্রেণির ছাত্রীকে লাগাতার গণধর্ষণের অভিযোগে তারই এক দাদা ও পিসেমশাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ আরেক দাদা ও জামাইবাবু এখনও পলাতক৷ তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ৷
বছর চারেক আগে ওই কিশোরীর মা মারা যায়৷ তখন থেকেই পিসির বাড়ি দক্ষিণেশ্বরে ঠাঁই হয় তার৷ ধর্ষিতা কিশোরীর অভিযোগ, ‘‘সেখানেই দীর্ঘদিন ধরে পিসতুতো দাদা ও পিসেমশাই আমাকে লাগাতার ধর্ষণ করত৷ তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমি পালিয়ে যায় তার এক দিদির বাড়ি৷ কিন্তু সেখানেও রক্ষা হয়নি৷ সেখানেও এক দাদা ও জামাইবাবু একাধিকবার আমাকে ধর্ষণ করে৷’’
ধর্ষিতা কিশোরীর অভিযোগ, পরিবারের অন্যদের অত্যাচারের এই কথা জানালে তাঁরা সাহায্যের পরিবর্তে বিষয়টি চেপে যাওয়ার পরামর্শ দেন৷ এমনকি পুলিশে অভিযোগ করলে ফল ভাল হবে না বলেও শাসানি দেয়৷ এমনকি বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷
অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে বাড়ি থেকে পালায় সে৷ পূর্ব বর্ধমানের জেলা চাইল্ড লাইন উদ্ধার করে তাকে৷ তাদের সে পুরো ঘটনাটি জানায়৷ চাইল্ড লাইনের সহায়তায় কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই ধর্ষিতা ছাত্রী৷ তারপরই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই কিশোরীর এক দাদা ও পিসেমশাইকে গ্রেফতার করেছে৷ আরেক দাদা ও জামাইবাবু এখনও পলাতক৷

ইলিশ ও শাড়ির টানে বাংলাদেশ যেতে চাই: রানী মুখার্জি

রানী বললেন, হিচকি অবশ্যই আমার ‘কামব্যাক’ ছবিরানী বললেন, হিচকি অবশ্যই আমার ‘কামব্যাক’ ছবি মুখে সেই চেনা হাসি। পরনে কালো জিনস ও টি-শার্ট। এক ফাগুনের উজ্জ্বল দুপুরে ‘যশরাজ স্টুডিও’-র মেকআপ রুমে এলেন বলিউড অভিনেত্রী রানী মুখার্জি।
তিন বছর পর আবার পর্দায় ফিরছেন তিনি। আগামীকাল ২৩ মার্চ মুক্তি পাচ্ছে রানী অভিনীত ছবি হিচকি। ছবি মুক্তির দুদিন আগেই তাঁর জন্মদিন। তবে বাবার প্রসঙ্গ উঠতেই মুহূর্তে মিলিয়ে গেল সেই প্রাণখোলা হাসি। কয়েক মাস আগেই
বাবাকে হারিয়েছেন রানী। চোখের জল দিয়ে শুরু হলো এদিনের এই আড্ডা।
প্রশ্ন: বাবাকে ছাড়া আপনার প্রথম জন্মদিন হতে চলেছে। এ জীবনে জন্মদিনে বাবার কাছ থেকে পাওয়া সেরা উপহার কোনটি?
রানী মুখার্জি: (বাবার কথা শুনেই দুচোখ জলে ভরে ওঠে রানীর। অনেক কষ্টে চোখের জলকে নিয়ন্ত্রণে আনেন। কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন) বাবাই তো ঈশ্বরের দেওয়া সেরা উপহার। জানেন, আমি বাবার সঙ্গে খুব অ্যাটাচড ছিলাম। খুব কষ্ট হচ্ছে বাবার জন্য। বাবা আমার সবচেয়ে দুর্বল জায়গা।
দুঃখিত, শুরুতেই আপনাকে কষ্ট দিলাম। ছবি মুক্তির দুদিন আগেই আপনার জন্মদিন। ছবি আর জন্মদিন প্রায় একসঙ্গে, এটা কি পরিকল্পনা করেই?
রানী মুখার্জি: না, না, ঠিক আছি। আসলে বাবার প্রসঙ্গ উঠলে কষ্ট হয়। না, পরিকল্পনা করে কিছু হয়নি। এই প্রথম আমার জন্মদিনের আশপাশে আমার অভিনীত ছবি মুক্তি পাচ্ছে। এর আগে কখনো তা ঘটেনি। তাই খুবই রোমাঞ্চিত। জন্মদিনের সময় আমি সাধারণত বিদেশে থাকি। এবার ছবি প্রচারণার জন্য দেশে আছি। প্রথমবার বাবাকে ছাড়া জন্মদিন পালন করব। বাবার শুভেচ্ছা ছাড়া আমার প্রথম জন্মদিন হবে। (আবার চোখের কোণে জল চিকচিক করে ওঠে)
প্রশ্ন: মাতৃত্ব সাধারণত বদলে দেয় নারী শরীরকে। কিন্তু সেই বদল আপনার মধ্যে দেখতে পাচ্ছি না। এর রহস্য কী?
রানী মুখার্জি: খুব কঠিন কাজ ছিল। মুখ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। তার মানে আমি এই বলছি না যে, খাবার খেয়ো না। বলতে চাইছি, অপুষ্টিকর খাবার থেকে দূরে থাক। খাবার খাওয়া জরুরি। কিন্তু খাবার খেয়েও মানুষ যখন স্লিম থাকে সেটাই আসল ম্যাজিক।
প্রশ্ন: বলা যায়, ‘হিচকি’ আপনার ‘কামব্যাক’ ছবি। আপনি নিজে কী হিসেবে দেখেন?
রানী মুখার্জি: হিচকি অবশ্যই আমার ‘কামব্যাক’ ছবি। মাতৃত্বজনিত ছুটিতে ছিলাম। তিন বছর পর আবার পর্দায় ফিরে আসছি।
প্রশ্ন: আবার নিজের কাজের জগতে ফেরা কতটা কষ্টকর ছিল?
রানী মুখার্জি: আদিরা প্রি-ম্যাচিওর্ড বেবি ছিল। তাই ওর খেয়াল আরও বেশি করে রাখতে হতো। আদিরা আসার পর আমি একটু অলস হয়ে গিয়েছিলাম। আসলে মা হওয়ার পর বোধ হয় এ রকই হয়। ওর খুঁটিনাটি সব বিষয়ে আমি সব সময় সজাগ থাকতাম। দিনরাত কেট যেত আমার মেয়েকে নিয়ে। আমার যে একটা কাজের জগৎ আছে, তা ভুলতেই বসেছিলাম। আদি জোর করে আবার আমার দুনিয়ায় আমাকে ফেরায়। ও আমাকে বারবার বলত, ‘তুমি ভুলে যেয়ো না তুমি একজন অভিনেত্রী। তোমার ভক্তরা তোমার অপেক্ষায় আছে। অভিনেত্রী হিসেবে তোমারও একটা দায়িত্ব আছে। ’ আদির জন্যই আবার কাজে ফিরতে বাধ্য হই।
প্রশ্ন: মাতৃত্ব কতটা বদলাতে পেরেছে রানীকে?
রানী মুখার্জি: সব মেয়েই মা হওয়ার পর অনেকটাই বদলে যায়। আর আমি মনে করি, মা হওয়ার পর একজন নারী সম্পূর্ণরূপে নিজেকে আবিষ্কার করতে পারে। তাই একজন মেয়ের মা হওয়া খুব জরুরি। সে এক অপার্থিব অনুভূতি। আমি কত ছবিতে মা হয়েছি। কিন্তু বাস্তবে যখন মা হলাম তার সুখই আলাদা।
প্রশ্ন: মা, স্ত্রী, অভিনেত্রী—এই তিন সত্তাকে একসঙ্গে সামলাচ্ছেন কী করে?
রানী মুখার্জি: ব্যালান্স করে তো চলতেই হয়। সব মেয়েকে তাই করতে হয়। তবে এই মুহূর্তে আদিরাকে বেশি করে সময় দিতে হয়। আমার জীবনের কিছুটা ওর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আদিরার যখন ১৪ মাস বয়স তখন আমি হিচকির শুটিং শুরু করি। তবে আমি সব সময় চেষ্টা করি দুপুরের মধ্যে কাজ সেরে মেয়ের কাছে ফিরে যেতে। হিচকির শুটিং-এর সময় আমি সকাল ছয়টায় সেটে চলে যেতাম। ছয় ঘণ্টা কাজ করে আবার দুপুরে বাড়ি ফিরে যেতাম।
প্রশ্ন: ‘হিচকি’-তে আপনার অভিনীত চরিত্রের নাম ‘নয়না মাথুর’। রানী থেকে নয়না হয়ে ওঠার প্রস্তুতি কেমন ছিল?
রানী মুখার্জি: রানী থেকে নয়না হয়ে ওঠার পেছনে আসল মানুষটি হলেন আমেরিকার জর্জিয়ার ব্র্যাড কোহেন। নিশ্চয় জানেন, ‘ট্যুরেট সিনড্রম’ নামের এক স্নায়ুরোগের ওপর নির্মিত এই ছবিটি। ফ্রন্ট অব দ্য ক্লাস আমেরিকান এই ছবিটি আমেরিকার ব্র্যাড কোহেনের জীবনের ওপর। ব্র্যাড বাস্তবে এই স্নায়ুরোগটির শিকার। তাই নয়না হয়ে উঠতে আমাকে ব্র্যাডের সাহায্য নিতে হয়েছে। আমি স্কাইপে-তে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতাম। তাঁর কাছ থেকে অনেক ইনপুট নিতাম। এ ছাড়া ট্যুরেট সিনড্রমের ওপর ইউটিউবে অনেক ভিডিও দেখেছি।
প্রশ্ন: আপনার জীবনের ‘হিচকি’ নিয়ে যদি কিছু বলেন?
রানী মুখার্জি: ওরে বাবা! আমার জীবন তো হিচকিতে ভরা ছিল। ছোটবেলায় আমি কথা বলতে গিয়ে তোতলাতাম। আসলে আমার মা আর দাদা তোতলা ছিল। আর ওদের নকল করতে করতে আমার মধ্যে অজান্তে এই সমস্যাটা ঢুকে যায়। তারপর নিজের চেষ্টাতেই এই সমস্যা কাটিয়ে উঠি। একজন অভিনেতার কাছে এটা যে কত বড় চ্যালেঞ্জ, তা আশা করি বুঝতে পারছেন। এরপর আমার অন্তরায় ছিল আমার গলার স্বর। আর এই নিয়ে আমাকে অনেক কটূক্তি সহ্য করতে হয়। আসলে অনেকের মতে, আমার কণ্ঠস্বর নায়িকাসুলভ নয়। আমার প্রথম হিন্দি ছবি রাজা কী আয়েগি বরাত-এ আমি নিজে ডাবিং করি। তবে বিক্রম ভাটের গুলাম ছবিতে আমার নিজের ভয়েস ছিল না। আমির খান, বিক্রমের মনে হয়েছিল আমার গলার স্বর তথাকথিত নায়িকাদের মতো পাতলা নয়। এই সময় আমি করণ জোহরের কুছ কুছ হোতা হ্যায় ছবিতে কাজ করছিলাম। আমার গলার স্বরকে প্রথম কাজে লাগায় করণ। এই ছবিতে ও আমাকে দিয়েই ডাবিং করায়। করণ আমাকে বলেছিল, একজন অভিনেতার কণ্ঠস্বরই তার পরিচয়। আর এর জন্য আমি করণের কাছে কৃতজ্ঞ। কুছ কুছ হোতা হ্যায় রিলিজের পর ছবিটি দেখে আমির ফোন করে আমাকে ‘স্যরি’ বলে। গুলাম ছবিতে আমার ভয়েস ব্যবহার করা হয়নি বলে পরে আমিরের আফসোস হয়েছিল। আমার উচ্চতা ক্যারিয়ারের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে আমি খুব লাকি যে তখন শাহরুখ, সালমান, আমিরের সঙ্গে কাজ করেছি। ওদের পাশে আমাকে দিব্যি মানিয়ে গিয়েছিল।
প্রশ্ন: বাস্তবে আপনার মধ্যে শিক্ষিকার কোন কোন গুণ আছে?
রানী মুখার্জি: প্রচুর গুণ আছে। সুযোগ পেলেই আমি শিক্ষা দিতে শুরু করে দিই। (সশব্দে হেসে)
প্রশ্ন: আর ছাত্রী হিসাবে আপনি কেমন ছিলেন?
রানী মুখার্জি: আমি চিরকালই শিক্ষকদের খুবই অনুগত ছিলাম। সব সময় চেষ্টা করতাম শিক্ষিকাদের গুডবুকে থাকার।
প্রশ্ন: এই ডিজিটাল যুগে আপনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেই। এর কি কোনো বিশেষ কারণ আছে?
রানী মুখার্জি: আমার কাছে এই মাধ্যমটা একদম গুরুত্বহীন। কম্পিউটারের ওপারে থাকা মানুষটাকে আমি চিনি না, জানি না। সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়াই আমি এত বছর এই ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে আছি।
প্রশ্ন: ‘মরদানি’-র পর আবার অন্য ধারার ছবিতে আপনি। চিত্রনাট্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে কি এখন একটু বেশি ভাবনাচিন্তা করেন?
রানী মুখার্জি: জীবনের এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে অবশ্যই চিত্রনাট্য নিয়ে একটু বেশি সতর্ক থাকতে হয়। এই বিষয়টা বাবার থেকে শিখেছি। তিনি বুঝিয়েছিলেন, ছবির ক্ষেত্রে চিত্রনাট্য হলো শিরদাঁড়া। চিত্রনাট্য দুর্বল হলে সিনেমা ঝুলে যাবে। আর চিত্রনাট্য সবল হলে ছবি সোজা হয়ে দাঁড়াবে।
প্রশ্ন: মরদানির পর হিচকি—এই দুটো ছবিতেই আপনি নারীশক্তির প্রতীক। ব্যক্তি রানীকে কে শক্তি জোগায়?
রানী মুখার্জি: আমার মা-ই আমাকে সব শক্তি জোগায়। বাঙালি মেয়েরা মানসিকভাবে একটু বেশি দৃঢ় হয়। এদের মধ্যে লড়াই করার এক অদ্ভুত ক্ষমতা থাকে।
প্রশ্ন: শেষ প্রশ্ন, বাংলাদেশে আপনি আগে গেছেন। আবার বাংলাদেশ কিসের টানে যেতে চান?

রানী মুখার্জি: হা, হা, (সশব্দে হেসে) ইলিশ মাছ। শাড়ি। এই দুটোর টানে বাংলাদেশ যেতে চাই। আমি বাংলাদেশে গিয়ে খুব ইলিশ মাছ খেয়েছিলাম। আর অনেক শাড়ি নিয়ে এসেছিলাম।

ছোটপর্দার সুন্দরী পালকের ‘দুঃসাহসিক’ ভিডিও হল ভাইরাল


স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: ‘কে আপন কে পর’ সিরিয়াল বেশ কয়েকদিনের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।আর তাঁর সঙ্গেই জনপ্রিয় হয়েছে এই সিরিয়ালের চরিত্র গুলো। তাঁর মধ্যে একটা জনপ্রিয় চরিত্র হল পালক। বাড়ির মেজ বউ হিসাবে বেশ জমিয়ে ফেলেছিল অনন্যা। এর আগেও বহু ধাঁচের চরিত্রে দেখা গেছে তাঁকে।
তবে বাস্তবে একেবারেই চরিত্রের মত নয় তিনি।রিল লাইফের থেকে রিয়েল লাইফে ভীষণই সাহসী অনন্যা। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই অ্যাক্টিভ তিনি। মেকাআপ রুম থেকে শুরু করে ঘুরতে যাওয়া সব কিছুরই আপ ডেট দিতে থাকেন সব সময়।

সেরকমই এবার পুজোর ছুটি কাটালেন গোয়া তে। আর সেখানে গিয়ে প্যারা গ্লাইডিং করতে দেখা গেল তাঁকে। একেবারে দুঃসাহসিক ভিডিও দিয়ে তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ফ্যান দের। সমুদ্রের মাঝে প্যারাসুটে করে ওড়া একেবারেই চারটি খানি কথা নয়। তবে অনন্যা এরকম ঝুঁকি নিতে বেশ পছন্দ করেন। অভিনয়ের পাশাপাশি ঘুরে বেড়ান তাঁর কাছে আলাদা ভালো লাগা।

আমি বিশ্বাস করতে পারছি না ওরা গানটার এই অবস্থা করেছে

কিছুদিন আগেই ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে ‘বাঘি-২’ সিনেমার একটি টাইটেল গান। তাতে দেখা যায় এই ছবিতে নতুন করে তৈরি করা হয়েছে ‘তেজাব’ সিনেমার জনপ্রিয় ‘এক দো তিন’ গানটি। জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ অভিনীত এই গানের দৃশ্য দেখে ভীষণ চটেছেন ‘তেজাব’ সিনেমার পরিচালক এন.চন্দ্র। শুধু তাই নয় ক্ষুব্ধ হয়েছেন তেজাব সিনেমার অভিনেত্রী মাধুরী দিক্ষিতও।
১৯৮০-র দশকে ‘তেজাব’ (১৯৮৮) ছবিতে ‘এক দো তিন’ গানটি দিয়ে দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন মাধুরী। সেই গানেরই রিমেক হল ‘বাঘি ২’ ছবিতে। মাধুরীর সেই গানের রিমেকে নেচেছেন জ্যাকুলিন।
কিন্তু ‘তেজাব’ ছবির পরিচালক এন চন্দ্রা ও কোরিওগ্রাফার সরোজ খান মোটেই গানটির নতুন সংস্করণটি নিয়ে খুশি নন। তারা এই রিমেকে জ্যাকুলিনের নাচটিকে ‘সেক্স অ্যাক্ট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, এই গানটি এতটা অর্থহীন তিনি ভাবতেই পারেননি। ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না ওরা এক দো তিন গানটার এই অবস্থা করেছে! আর মাধুরীর গানে জ্যাকুলিন নাচবেন? আমায় একটু স্বস্তি দিন। এটা সেন্ট্রাল পার্ককে বোট্যানিকাল গার্ডেনে পরিণত করার মতো। মাধুরীর নাচের মধ্যে গরিমা আর নিষ্পাপ একটা ব্যাপার ছিল। এই নাচটি তো যৌনতায় ভরা’।
জ্যাকুলিন মাধুরী
এদিকে শোনা যাচ্ছে, ‘এক দো তিন’ মুক্তি পাওয়ার পর নাকি মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন জ্যাকুলিন। কিন্তু, তার ফোন কিংবা এসএমএস-এর উত্তর দিচ্ছেন না মাধুরী। বলিউডের এ সুপারষ্টার কেন জ্যাকুলিনের ফোন কিংবা এসএমএস-এর উত্তর দিচ্ছেন না, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জ্যাকুলিনের নাচ নিয়ে খুশি নন মাধুরীও। আর সেই কারণেই তিনি জ্যাকুলিনের ফোন ধরছেন না। যদিও এ বিষয়ে পাল্টা কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায় নি জ্যাকুলিনকে।

হিনা খানকে নোংরা আক্রমণ!

টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় এবং সংস্কারি ‘বউমা’ তিনি। ফলে বিগ বস হাউজেও তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে হু হু করে। তা সত্ত্বেও, গ্র্যান্ড ফিনালেতে হাজির হয়ে বসের ঘরের শিরোপা জিতে নেন ‘ভাবিজি’ শিল্পা শিন্দে। বিগ বসের মুকুট তাঁর মাথায় না উঠলেও, হিনা খের জনপ্রিয়তায় কিন্তু কোনও ভাটা পড়েনি। কিন্তু, এবার সেই হিনা খানক-কেই পড়তে হল নোংরা আক্রমণের মুখে।

টুইটারে হিনা খানকে আক্রমণ শুরু করেন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁর অভিনয়, ফ্যাশন সবকিছু নিয়েই আক্রমণের মুখে পড়তে হয় হিনাকে। নেটিজেনদের একাংশের আক্রমণের মুখে পড়ে এবার একাউন্ট ডিলিট করে দেওয়ার হুমকি দিলেন টেলিভিশনের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।

তিনি বলেন, যেভাবে তাঁকে বার বার আক্রমণ করা হচ্ছে, তাতে যে কোনও সময় তিনি একাউন্ট ডিলিট করে দিতে পারেন। ভালবাসা ছড়ান আরও বেশি করে। বার বার যদি সোশ্যাল সাইটে তাঁকে এভাবে ট্রল করা হয়, তাহলে তিনি একাউন্ট ডিলিট করে দেওয়ার মত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন বলেও জানিয়েছেন হিনা।-জিনিউজ

অভিনয় ছেড়ে কেন ধর্ম-কর্মে মনোযোগী হচ্ছেন তারকারা?

BD actor
সাধারণ মানুষের চোখে শোবিজ তারকারা হলেন নীল আকাশ আর রুপালি জগতের বাসিন্দা। অন্য দশ জনের মতো তারাও যে রক্তে-মাংসে গড়া মানুষ, ধর্ম পালন করেন, তা অবিশ্বাস্য মনে হয় সাধারণ মানুষের কাছে। বিশেষ করে কোনো তারকা যদি ধর্ম-কর্মে মনোযোগী হয়ে ওঠে তা বিশ্বাস করতে চায় না কেউ। শোবিজ জগতের তারকাদের ধর্ম-কর্মে মনোযোগী হয়ে ওঠা নিয়ে আজকের আয়োজনটি তৈরি করেছেন —আলাউদ্দীন মাজিদ
শাবানা
১৯৯৬ সালে হুট করেই ঢালিউড কুইন-খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবানা অভিনয় ছেড়ে ধর্মের প্রতি মনোযোগী হয়ে পড়েন। ষাটের দশকে চলচ্চিত্রে আসা এই অভিনেত্রী নিয়মিত নামাজ-রোজা এবং হজ পালনে ব্রতী হন।
বলতে গেলে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। এমনকি দেশ ত্যাগ করে আমেরিকা প্রবাসী হন। এখন পর্যন্ত তিনি আর চলচ্চিত্রে ফেরেননি। মাঝে-মধ্যে দেশে এলেও তার ছায়া পর্যন্ত কেউ দেখত না। বছর খানেক আগে ঢাকায় এক বিয়ের অনুষ্ঠানে হিজাব পরিহিত শাবানা ধরা পড়েন এক আলোকচিত্রির ক্যামেরায়।
ইলিয়াস কাঞ্চন
আশির দশকে এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন জনপ্রিয় নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রিয় সহধর্মিণী জাহানারা কাঞ্চন। এরপর অভিনয় আর সমাজ সেবামূলক কাজের মধ্যে প্রয়াত স্ত্রীকে বাঁচিয়ে রাখার সংগ্রামে অবতীর্ণ হন তিনি। ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ শিরোনামে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত এবং নিয়মিত নামাজ, রোজা, হজ এবং শুটিংয়ের ফাঁকেও পবিত্র কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করতে কখনো ভোলেন না এই জনপ্রিয় নায়ক।
সুচন্দা
ষাটের দশকে অভিনয়ে আসা কোহিনূর আক্তার সুচন্দা নব্বই দশক পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেন। এরপর প্রযোজনা-পরিচালনাতেও সমান জনপ্রিয় ও রাষ্ট্রীয় সম্মান লাভ করেন। নব্বই দশকের শেষভাগে হঠাৎ করে চলচ্চিত্র জগৎ ছেড়ে রীতিমতো ধর্ম-কর্ম আর সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। নিয়মিত নামাজ, রোজা, হজ এবং কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়েই কাটছে জনপ্রিয় চলচ্চিত্রকার সুচন্দার দিনকাল।
শাবনাজ-নাঈম
১৯৯৬ সালে চলচ্চিত্রে আসা ‘চাঁদনী’ ছবি খ্যাত শাবনাজ-নাঈম জুটির পর্দার প্রেম একসময় তাদের বাস্তব মনের দরজায় কড়া নাড়ে। এরপর ২০০০ সালের প্রথম দিকে এই জুটি বিয়ের পিঁড়িতে বসে অভিনয় ছাড়েন। রীতিমতো সংসার আর ধর্ম-কর্ম নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। নাঈমকে দাড়ি আর শাবনাজকে হিজাব পরিহিত অবস্থাতেই দেখা যায় এখন।
শাবনূর
২০১২ সালে গোপনে বিয়ে করেন শাবনূর আর ২০১৩ সালে সন্তানের মা হন। তখন থেকেই অভিনয়ে তাকে আর তেমনভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। সময় কিভাবে কাটান জানতে চাইলে তার কথায়—স্বামী-সন্তানের দেখভাল আর নামাজ, রোজা, কোরআন তেলাওয়াত হচ্ছে এখন তার প্রাত্যহিক কাজ। শাবনূরকে এখন রীতিমতো বোরকা আর হিজাব পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়।
মিশা সওদাগর
ধার্মিক হিসেবে বেশ শুনাম রয়েছে খলঅভিনেতা মিশা সওদাগরের। নিয়ম মেনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, রোজা করেন তিনি। মিশা সওদাগর বলেন, ‘আল্লাহ আমাকে অর্থসম্পদ দিয়েছেন আর তার শোকরিয়া আদায় করার জন্যই হজ পালন করে এসেছি।
আমি মনে করি প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষেরই শোকরিয়া জানানোর জন্য জীবনে একবার হলেও হজ পালন আর নিয়মিত নামাজ-রোজা আদায় করা উচিত।’
মুনমুন
এক সময়ের খোলামেলা নায়িকা মুনমুন ধর্মে-কর্মে ফিরে গেছেন। বর্তমানে হিজাব ছাড়া বাইরে বের হন না। নিয়মিত নামাজ পড়ছেন, এমনকি পরপুরুষকেও এড়িয়ে চলছেন। অশ্লীল অভিনয়ের কারণে চলচ্চিত্রে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়। যাত্রাপালাতেও অশ্লীল নাচ করেন। বর্তমানে বেশ ধর্মভীরু হয়ে পড়েছেন। দরকার ছাড়া বাইরে বের হন না। বাইরে বের হলেও হিজাব ব্যবহার করেন। নিজে বাড়িতে বসে টিভি পর্যন্ত দেখেন না মুনমুন।
অনন্ত জলিল
চলচ্চিত্রকার অনন্ত জলিল গত বছর হঠাৎ রবীন্দ্র সরোবরে এসে সবাইকে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে হৈ চৈ ফেলে দেন। বিশ্ব মিডিয়ায়ও সাড়া ফেলেন তিনি। পাগড়ি আর জুব্বা পরে তাবলিগে অংশ নিতে যান, মাদ্রাসায় ছাত্রদের সঙ্গে কোরআন তেলাওয়াত আর ইসলামী বয়ানে অংশ নেন। বায়িং হাউসের ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত এখন। অনন্ত অবশ্য চলচ্চিত্রে আসার আগেই ধার্মিক ছিলেন। তার সাভারের এ জে গ্রুপ অফিস আর কারখানায় গেলে দেখা যায় সেখানে তিনি রীতিমতো লিখিত নোটিস দিয়ে ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেন নামাজের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজ ছেড়ে নামাজ আদায় করেন। তিনি মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিম খানা, বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অসহায় মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
শাহনাজ রহমতউল্লাহ
প্রায় ৫০ বছরেরও বেশি সময় মানুষকে তার জাদুকরী সুরে আবিষ্ট করে রেখেছেন। এই শিল্পী অনেক দিন গান করেন না। তিনি বলেন, ‘ওমরাহ করার পর থেকেই গান-বাজনার প্রতি আগ্রহ কমে গেছে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আর সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চাই।
আরিফিন রুমি
বেশ কিছুদিন ধরে নামাজ-রোজা এবং এবাদত-বন্দেগিতে মনোযোগ স্থাপন করেছেন এই শিল্পী। নিজের বেশভূষাতে পরিবর্তন এনেছেন মুখে দাড়ি ও মাথায় টুপি পরা আরিফিন রুমিকে দেখলে অনেকে কিঞ্চিত ধাক্কাও খেতে পারেন।
শাকিব খান

ধর্ম-কর্মে মনোনিবেশ করা তারকার মধ্যে সর্বশেষ সংযোজন শীর্ষনায়ক শাকিব খান। সম্প্রতি তাকে দেখা গেছে ধানমন্ডি মসজিদের খতিব ওসামার কাছে গিয়ে ইসলামের দীক্ষা নিতে। এরই মধ্যে কয়েকবার হজ পালন এবং এখন নিয়মিত নামাজ-রোজা আদায় করছেন তিনি। তার কথায় ইহকাল বড় নয়, পরকালই মানুষের আসল ঠিকানা। জীবনযাপনের জন্য মানুষ নানা পেশায় যুক্ত হয়। কিন্তু কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত হচ্ছে মুসলমানের প্রকৃত পরিচয় ও কর্তব্য।

হ্যাকারদের কেরামতিতে লাস্যময়ীর ন্যুড ছবি এখন ভাইরাল!

ক্যারোলেট এলিজাবেথ ফ্লেয়ার বললে ফ্যানেরাও সম্ভবত চিনতে পারবেন না৷ ক্যারোলেট নামেই তিনি পরিচিত৷ রিং কাঁপানো বছর ৩০ লাস্যময়ী রেসলার এখন খবরের শিরোনামে৷ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন রীতিমতো বিপাকে৷ তাঁর ফোনটি হ্যাকড হয়েছে৷ হ্যাকারদের কেরামতিতে তাঁর ন্যুড ছবি এখন সবার হাতে ৷
কী রয়েছে ক্যারোলেটের মোবাইলে? কী নেই সেখানে! বিনোদনের যাবতীয় রসদ সেখানেই৷ তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে টুইট করেন ক্যারোলেট,‘আমার ব্যক্তিগত ছবি কেউ হ্যাক করেছে৷ আমার অনুমতি ছাড়া এটা যে করেছে সে অত্যন্ত বাজে কাজ করেছে৷’

যদিও ‘নেগেটিভ পাবলিসিটি’ বলেও একটা ব্যাপার থাকে! বেশ কয়েকদিন আগেই দু’বারের চ্যাম্পিয়ন পেজেরও ফোন হ্যাক করে তার কিছু ব্যক্তিগত ভিডিও ও ছবি শেয়ার করে দিয়েছিল হ্যাকাররা৷

মাশরাফিকে নিয়ে নতুন আত্মীয়তার সম্পর্কে জড়ালেন মৌসুমী!

মাশরাফি মৌসুমী
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানী এখন সুস্থ আছেন। তার হার্টে ধরা পড়া চারটি ব্লকের মধ্যে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দু’টি রিং পরানো হয়েছে। একটি ব্লকে পুশ করা হয়েছে। আরেকটিতে রিং পরানো হবে কয়েকদিনের মধ্যে। কিছুটা সুস্থ বোধ হলে স্ত্রী মৌসুমীকে সঙ্গে করে সিলেট থেকে ঘুরে আসেন। সেখানেই দেখা হয় ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গে। তবে সেখানে মাশরাফিকে পেয়েই নতুন আত্মীয়তার সম্পর্কে জড়ালেন মৌসুমী। মাশরাফিকে ভাই ডাকেন মৌসুমী।
মৌসুমী বলেন,‘ সিলেটের চা বাগানে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছিল মাশরাফি। আমরাও গিয়েছিলাম ঘুরতে। সেখানেই হঠাৎ ওদের সঙ্গে দেখা। অনেক আড্ডা হলো। ওই আমাদের প্রথম দেখে কাছে এসে বলে মৌসুমী আপা, সানী ভাই কেমন আছেন?


সানীর শরীরের খোঁজ নিলেন। অমায়িক একটা মানুষ মাশরাফি। ওকে আমাদের বাসায় নিমন্ত্রন করলাম। আশা করা যায় কোন একদিন এ বোনের বাসায় চলে আসবে।’

অজয়-কাজলের মেয়ে নাইসা এতো বড় হয়ে গেছে, দেখুন তার বর্তমান গ্লামারাস লুক

যদিও বলিউডের নায়ক-নায়িকাদের ছেলে মেয়েরা অধিকাংশই খ্যাতির ছটায় রয়েছে, কিন্তু কাজল এবং অজয় ​​দেবগন তাদের মেয়েকে মিডিয়া থেকে দূরে রাখতে চান। কাজলের কন্যা নাইসা এবং ছেলে যুগ কখনোই খ্যাতির ছটায় আসেনি। যাইহোক, কাজলের কন্যা নাইসার সাম্প্রতিক ছবি দেখলে বোঝা যায় যে, তার বাবা-মায়ের তুলনায় সে কোন অংশেই থেকে কম নয়।

এই ছবিতে, কাজল তার মেয়ের সাথে লন্ডনে ছুটি কাটাতে দেখা যাচ্ছে । তিনি তার Instagram এ নাইসার সঙ্গে একটি সুন্দর ছবি শেয়ার করেছেন, এবং আমি এই চমৎকার মহিলাদের দেখতেই থাকলাম । হ্যাঁ, সেই ছোট বাচ্চা মেয়েটি একটি কিশোরীতে পরিনত হয়েছে। যদিও নাইসাকে কাজলের মতন দেখতে, তার হাসি নিশ্চয়ই আপনাকে তরুণ কাজলের কথা মনে করিয়ে দেবে।
নাইসা পড়তে এবং সাঁতার কাটতে ভালবাসে। তিনি একটি মেয়ে যিনি সময়ের সঙ্গে পরিপক্বতা অর্জন করেছে বলে মনে হয়। এমনকি অজয় ​​দেবগনও বিশ্বাস করেন যে নাইসা তার সবচেয়ে বড় সমালোচক।
নাইসা দেবগন এখন আর বাচ্চা নেই ।

কাজল এবং অজয় ​​দেবগনের মেয়ে এখন বড় হয়ে উঠেছে। সে তার কিশোরী বয়সে প্রবেশ করেছে এবং তার নতুন অবতারে সম্পূর্ণ অচেনা লাগছে । এই ছবি থেকে বেশ স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে নাইসার তার মা এবং বাবার সাথে ভাল সম্পর্ক আছে । আপনি জেনে অবাক হবেন যে নাইসার কোনও ইচ্ছা নেই বলিউডে কাজ করার ।
নাইসা কাজল এবং অজয়ের বড় মেয়ে …

নাইসা এখন ১৫ বছরের কিশোরী ।
বাবার বড় সমালোচক

তিনি এখনও তার কিশোরী বয়সের হতে পারে কিন্তু তার বাবার অভিনয় সম্পর্কে তার মতামত রাখতে পিছপা হয় না কখনও ।
কাজল সোশাল মিডিয়ায় তার মেয়ের ছবি খুব কমই শেয়ার করেন

তবুও আমরা দেবগনের মেয়ের আরও ১৪ টি ছবি সংগ্রহ করতে পেরেছি।
Instagram এ কজোলের কন্যার বিরল ছবি

যেমন ছবিটা। মা মেয়ের সম্পর্ক সবসময় মিষ্টিই হয়ে থাকে।
কিছু হলিডের ছবি

যখন মা ছবি তোলে তখন সে পোস দিতে ভোলে না।
মনে হয় না নাইসা খুব মিষ্টি ?

সে কোন বিখ্যাত নায়িকার চেয়ে কম পোস দিতে জানে না।
টিকা মেয়ে

নাইসা জানে যে পারিবারিক ঐতিহ্যকে কি করে উজ্জ্বল করতে হয় তার এই টিকা পরে ইন্সটাগ্রামের ছবি গুলো তা প্রমান করে ।
তবুও পাবলিক ইভেন্টগুলিতে তার বাবার সাথে পোস দিতে সে ভুলে যায় না

মেয়েটি জানে সঠিক অনুষ্ঠানে সঠিক পোষাক পড়তে, যাতে মিডিয়া তার ছবি তুলতে ভুলে না যায়
মা-মেয়ের বিশ্রামাগারের ক্লিক

বেশ স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে যে সে তার মা এর সাথে ছবি তুলতে ভালোবাসে।
মেক আপ ছাড়া চেহারা

মাঝে মাঝে নাইসা কেমন দেখাচ্ছে সেটার পরোয়া না করেই তার মা এর সাথে ছবি তোলে
বাবা-মেয়ের সম্পর্ক
এটা স্পষ্ট যে সে তার পিতার সাথে তাকে যতবার দেখা গেছে সে তারা স্পষ্টভাবে একটি শক্তিশালী বন্ধন ভাগ করে নিয়েছে।
অজয় তাকে আড়ালে রাখতে চায়

তারা উভয়েই জানে যে কখন ক্যামেরার জন্য পোস করতে হবে যাতে ছবিটিকে উজ্জ্বল দেখাবে ।
শপিং এর সময়
উপরের ছবি থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে পিতা-কন্যা অনেক ঘোরাঘুরি করে, এমনকি একসঙ্গে কেনাকাটাও করে।
পরিবারের সময়
১৫ বছর বয়েসী মেয়েটি পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটাতে ভালবাসে এবং আমরা আপনার জন্য কিছু পরিবারের সময় কাটানোর ফোটোগ্রাফ এনেছি ।
একরঙার মধ্যে

এই ছবিতে যুগ (নাইসার ছোট ভাই) বাবার কোলে বসে আছে আর অন্যদিকে নাইসা পোস দিতে ব্যস্ত ।
নাইসা বিকিনিও পরে !

যদিও তিনি কোনও সময়ই বলিউডে যোগদানের কোনও পরিকল্পনা করেননি, তবে তার সৈকতে তোলা ফটোগ্রাফটি একটি মুভি শটের মতই মনে হচ্ছে ।
পরিশেষে, সে তার পিতার সাথে পাশে দাঁড়িয়ে আছে যতক্ষণ পর্যন্ত ক্যামেরাটি সেদিকে নজর রাখে না।

ক্যাটরিনার ‘সাবেক প্রেমিকে’র বাগদান

ভারতের অন্যতম ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির ছেলে আকাশ আম্বানির বাগদান হয়েছে। পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের জায়গা গোয়ায় হীরা ব্যবসায়ীর কন্যার সঙ্গে ...